গ্ল্যামার দুনিয়ার ঝলকানির আড়ালেও যে কখনো কখনো গভীর অন্ধকার লুকিয়ে থাকে, তার চরম প্রমাণ মিলেছিল এক সময়ের বলিউড সুপারস্টার মালা সিনহার ঘটনায়।
ষাট ও সত্তরের দশকে রাজ কাপুর, দেব আনন্দ, ধর্মেন্দ্রদের সঙ্গে একের পর এক হিট ছবি উপহার দেওয়া এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী একসময় বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া নায়িকাদের একজন ছিলেন। অথচ, ১৯৭৮ সালে তার বাড়িতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার পর পুরো ইন্ডাস্ট্রিই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
সেই বছর আয়কর দফতরের এক অভিযানে অভিনেত্রীর বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। অভিযানে মালা সিনহার বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ১২ লাখ টাকা। তখনকার দিনে এই অংকটি ছিল অবিশ্বাস্যরকম বড়। তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে এর পরপরই।
অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় মালা সিনহাকে। সেখানেই আইনজীবীর তীব্র জেরার মুখে অভিনেত্রী একপর্যায়ে চিৎকার করে বলে ওঠেন—"হ্যাঁ! সব টাকা দেহব্যবসা করেই কামিয়েছি।" এই স্বীকারোক্তি মুহূর্তেই সারা দেশে হইচই ফেলে দেয়। বলিউডে তার ইমেজ ধসে পড়ে, একের পর এক সিনেমা হাতছাড়া হতে থাকে। জীবনের মোড় ঘুরে যায় সম্পূর্ণভাবে।
এই ঘটনা মালা সিনহার ক্যারিয়ারে যে গভীর ছাপ ফেলেছিল, তা বলিউডের ইতিহাসে আজও আলোচিত একটি অধ্যায় হয়ে রয়েছে। গ্ল্যামারের আড়ালে বাস্তবতার নির্মমতা কতটা ভয়ানক হতে পারে, মালার ঘটনা তারই এক জীবন্ত প্রমাণ।